ফ্রন্ট-এন্ড ডেভেলপার রোডম্যাপ: কি শিখবেন এবং কিভাবে শিখবেন?

বাংলা ব্লগওয়েব ডেভেলপমেন্ট৫ অক্টোবর, ২০২৪

ফ্রন্ট-এন্ড ডেভেলপার রোডম্যাপ: কি শিখবেন এবং কিভাবে শিখবেন?

ফ্রন্ট-এন্ড ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব ডেভেলপমেন্টের একটি অত্যন্ত সৃজনশীল এবং আকর্ষণীয় পার্ট। ফ্রন্ট-এন্ড ডেভেলপাররা সাধারণত ওয়েবসাইটের ইউজার ইন্টারফেস (UI) তৈরি করে, যেখানে ব্যবহারকারীরা সরাসরি ইন্টারেক্ট করে। নামের মতোই, ফ্রন্ট-এন্ড ডেভেলপারের কাজই ওয়েবসাইটের ভিজিটর সরাসরি দেখতে পায়। এই মডার্ন ইন্টারনেটের যুগে এসে ফ্রন্ট-এন্ড ডেভেলপার হতে চাইলে, মডার্ন ওয়েব টেকনোলজির অনেক বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং সেগুলিও সঠিক পথে শিখতে হবে। আজকের পোস্টে একজন ফ্রন্ট-এন্ড ডেভেলপার হতে চাইলে কোন কোন স্কিলগুলি অর্জন করতে হবে এবং কোনটার পর কোনটা শিখতে হবে তার একটি রোডম্যাপ সাজিয়ে দিবো। আশা করি এই গাইডলাইন ফলো করে আগালে আপনার শেখার জার্নিটা একটু হলেও স্মুথ হবে এবং শেখার ফোকাস মেইনটেইন করতে পারবেন।

HTML, CSS এবং JavaScript দিয়ে শুরু করুন

ওয়েব ডেভেলপমেন্টের বেজ হলো HTML, CSS, এবং JavaScript। এগুলো ছাড়া ফ্রন্ট-এন্ড ডেভেলপমেন্ট শুরু করা সম্ভব নয়।

  • HTML (HyperText Markup Language): HTML হলো ওয়েব পেজের স্কেলেটন। এটি ব্যবহার করে ওয়েব পেজের স্ট্রাকচার তৈরি করা হয়। এইচটিএমএল এবং এইচটিএমএল৫ এর এলিমেন্টগুলি সম্পূর্ণ আয়ত্ব করা খুবই জরুরী। ইন্টারনেট/ওয়েবসাইট সম্পর্কে আইডিয়া থাকলে আর একটু মনোযোগ দিলে সপ্তাহখানেকের মধ্যে এইচটিএমএল আয়ত্ব করে ফেলা সম্ভব।
  • CSS (Cascading Style Sheets): CSS দিয়ে মূলত এইচটিএমএল এ বানানো কঙ্কাল কে রংচং মাখিয়ে প্রেজেন্টেবল করা হয়। কালার, সাইজ, পজিশন, ইত্যাদি সব সিএসএস দিয়েই করা হয়। একজন মডার্ন ফ্রন্ট-এন্ড ডেভেলপারকে অবশ্যই ফ্লেক্সবক্স এবং গ্রিড লেআউট এ মাস্টার হতে হবে। সিএসএস এ প্রচুর সময় দিবেন, কারণ ফ্রন্ট-এন্ড ডেভেলপারের কাজই হচ্ছে সুন্দর ওয়েবসাইট লেআউট বানানো, আর সেটা পারবেন শুধুমাত্র সিএসএস এ এক্সপার্ট হতে পারলেই। সিএসএস এ সময় নিয়ে নো কম্প্রোমাইজ।
  • JavaScript: মডার্ন ওয়েবে ইন্টারেকটিভিটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর ইন্টারএক্টিভিটির বাপ হলো জাভাস্ক্রিপ্ট। এই যুগের ফ্রন্ট-এন্ড ডেভেলপার হতে হলে আপনাকে জাভাস্ক্রিপ্ট কে জানেমান বানিয়ে ফেলতে হবে। মিনিমাম ৬ মাস জাভাস্ক্রিপ্টের পিছনে ব্যয় করবেন। পুরোপুরি কখনোই শিখতে পারবেন না, তবে নতুন কিছু আসলে যাতে সাথে সাথে বুঝে ফেলতে পারেন সেই সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। আর জাভাস্ক্রিপ্ট নিয়ে একটা কোর্স দেখে বসে থাকবেন না, মাল্টিপল কোর্স করবেন। একেক ইনস্ট্রাকটরের কোডিং স্টাইল এবং মেথড আলাদা, সবগুলির ব্যাপারেই আইডিয়া রাখা উচিত এবং সব ইন্সট্রাক্টর সব বিষয় কভারও করে না। সো, মাল্টিপল কোর্স করাটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

ভার্সন কন্ট্রোল এবং গিট

প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট এবং কোডের হিস্ট্রি ট্র্যাক করতে Git এবং GitHub শেখা অত্যন্ত জরুরি।

  • Git: এটি দিয়ে কোডের বিভিন্ন ভার্সন সংরক্ষণ করা যায়। ধরুন একমাস আগে একটা ফাইলে কি চেঞ্জ করেছেন এবং চেঞ্জের আগে কি ছিলো, সেটা বের করে ফেলতে পারবেন গিট ইউজ করলে। আপনার কাজের কনভিনিয়েন্ট এর চেয়ে বড় কথা ক্লায়েন্ট রিকুয়ারমেন্ট এর মধ্যে পড়ে এটা। এই সময়ে আপনি গিট না জানলে আপনাকে কোন ক্লায়েন্ট ডেভেলপার হিসেবেই মেনে নিতে চাইবে না। git init, git commit, git push, এবং git pull এর মতো কমান্ডগুলো শিখে রাখবেন। কমান্ডলাইনে প্রথমে অসস্তি লাগলে, GitHub এর ডেস্কটপ এপ ইউজ করে অভস্ত্য হতে পারেন।
  • GitHub: গিট মূলত একটি টেকনোলজি আর গিটহাব হলো গিট সার্ভিস বা হোস্টিং প্রোভাইড করে এমন একটি কোম্পানি। বিশাল এন্টারপ্রাইজ ছাড়া বেশিরভাগ মানুষই গিটহাব ইউজ করে, সো এটা শিখে ফেলবেন। আর যা যা স্যাম্পল প্রজেক্ট করবেন সব গিটহাবে দিয়ে রাখবেন। আপনার কোডও ব্যাকআপ থাকবে সাথে গিট ব্যবহারেও অভ্যস্ত হলেন।

রেসপন্সিভ ডিজাইন এবং CSS ফ্রেমওয়ার্ক

বর্তমানে হাজারেরও বেশি স্ক্রিন সাইজ কম্বিনেশনের ডিভাইস রয়েছে, সুতরাং রেসপন্সিভ ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এখন একটি অপরিহার্য ব্যাপার। তাছাড়া মডার্ন সিএসএস ফ্রেমওয়ার্কগুলি সম্পর্কেও আপনার জ্ঞান থাকতে হবে। সিএসএস ফ্রেমওয়ার্কগুলি আপনার কাজকে সহজ তো করবেই, সাথে অলরেডি কোন ফ্রেমওয়ার্ক দিয়ে ডেভেলপ করা কোন প্রজেক্টে আপনাকে কাজ করতে হলে সেই ফ্রেমওয়ার্ক জানাটা আপনার জন্য জরুরী। তাই আমি সাজেস্ট করব জনপ্রিয় টপ ৫ টা সিএসএস ফ্রেমওয়ার্ক শিখে রাখতে।

  • Responsive Design: Flexbox এবং Grid Layout ব্যবহার করে বিভিন্ন ডিভাইসে রেসপন্সিভ ওয়েবসাইট তৈরি করতে শিখুন। মিডিয়া কুয়েরি ব্যবহার করে বিভিন্ন স্ক্রিন সাইজের জন্য সঠিক লেআউট তৈরি করতে শিখুন।
  • CSS Frameworks: বর্তমানে জনপ্রিয় ৫ টি সিএসএস ফ্রেমওয়ার্ক শিখে রাখুন। সিএসএস পারলে, এগুলি শিখতে বেশিদিন সময় লাগবে না। আর একটা ফ্রেমওয়ার্কে অভ্যস্থ হয়ে গেলে বাকিগুলি খুব সহজেই শিখে ফেলতে পারবেন। Bootstrap 5 এবং Tailwind CSS এই দুইটি ফ্রেমওয়ার্ক সবচেয়ে বেশী জনপ্রিয়, এই দুইটি তে এক্সপার্ট হয়ে যান।

জাভাস্ক্রিপ্ট ফ্রেমওয়ার্ক এবং লাইব্রেরী

জাভাস্ক্রিপ্ট যেহেতু শিখে ফেলেছেন, এবার শুরু করেন জাভাস্ক্রিপ্ট ফ্রেমওয়ার্কগুলি শেখা। ডেভেলপমেন্টে ভ্যানিলা জাভাস্ক্রিপ্ট (রেগুলার জাভাস্ক্রিপ্ট) খুব বেশি ইউজ হয় না এখন আর। প্রত্যেকটা ওয়েব এপ্লিকেশনই কোন না কোন জাভাস্ক্রিপ্ট ফ্রেমওয়ার্ক / লাইব্রেরী ব্যবহার করে। কয়েকটি ফ্রেমওয়ার্ক নিয়ে ঘাটাঘাটি করুন। পরবর্তীতে যেই ফ্রেমওয়ার্ক / লাইব্রেরীতে মজা পাবেন সেটি নিয়ে পুরোদমে লাগবেন।

  • React.js: ফ্রন্ট-এন্ড ওয়েব ডেভেলপমেন্টে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি লাইব্রেরী হলো রিয়েক্ট। রিয়েক্ট শিখলে রিয়েক্ট বেজড ফ্রেমওয়ার্কগুলি যেমন নেক্সট.জেএস, গ্যাটসবি জেএস, ইত্যাদি ফ্রেমওয়ার্কগুলি খুব সহজে শিখে ফেলতে পারবেন।
  • Vue.js: ভিউ.জেএস অনেক সহজ একটা জাভাস্ক্রিপ্ট লাইব্রেরী। এই রিয়েক্টের মতো JSX ইউজ না করে প্লেইন এইচটিএমএল ইউজ করে, সুতরাং এটিতে অভস্থ্য হওয়াটা অনেক সহজ হবে।
  • Svelte: অনেক লাইটওয়েট একটি লাইব্রেরী, ফলে এর জনপ্রিয়তাও অনেক। এটিও শিখে ফেলুন।

মোদ্দা কোথা কোন একটি ফ্রেমওয়ার্ক বা লাইব্রেরী আকড়ে ধরে বসে থাকবেন না। চেষ্টা করবেন বর্তমান ট্রেন্ডিং এ থাকা টপ ৩-৪ টি ফ্রেমওয়ার্ক যেনো আপনি পারেন। ফ্রন্ট-এন্ড এর টেকনোলজি অনেক দ্রুত আপডেট হয়, তাই প্রতিনিয়ত নিজেকে আপডেট রাখবেন, নাহলে হারিয়ে যাবেন।

জাভাস্ক্রিপ্ট প্যাকেজ ম্যানেজার

যেহেতু জাভাস্ক্রিপ্ট লাইব্রেরী শেখার স্টেজে চলে এসেছেন, এখানে আপনার প্যাকেজ ম্যানেজার ইউজ করা শিখতে হবে। সহজ কথায় প্যাকেজ ম্যানেজার হলো জাভাস্ক্রিপ্ট এর বিভিন্ন প্যাকেজ (প্লাগিন) ইন্সটল আনইন্সটল করার কমান্ডলাইন প্রোগ্রাম। বর্তমানে জনপ্রিয় দুইটি প্যাকেজ ম্যানেজার NPM এবং YARN এই দুইটি শিখে ফেলুন।

ওয়েব এপিআই এবং AJAX

ওয়েবসাইটের ডাইনামিক কন্টেন্ট লোড করা হয় এপিআই দিয়ে, আর ওয়েবসাইট রিলোড না করে এপিআই কল করা হয় এজাক্স দিয়ে। মডার্ন ওয়েবসাইট ডেভেলপ করার জন্য আপনাকে এপিআই এবং অ্যাজাক্স এ এক্সপার্ট হতে হবে।

  • Fetch API: ফেচ এপিআই জাভাস্ক্রিপ্টের বিল্ট-ইন এবং অনেক জনপ্রিয় একটি এপিআই রিকুয়েস্ট মেথড। এপিআই নিয়ে ঘাটাঘাটি ফেচ এপিআই এবং এর Promises অবজেক্টগুলি দিয়েই শুরু করুন।
  • RESTful APIs: রেস্ট এপিআই কিভাবে কাজ করে, কি কি করতে পারবেন, এগুলি নিয়ে স্টাডি করুন। রেস্টফুল এপিআই ব্যবহার করতে জানাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

বিল্ড টুলস (Build Tools)

বিল্ড টুলস হলো এমন টুলস বা সফটওয়্যার যা আমাদের সোর্স কোডকে প্রোডাকশন রেডি ফরম্যাটে রূপান্তর করতে সাহায্য করে। JavaScript, CSS, HTML ইত্যাদি ফাইলগুলোকে মিনিফাই করে বিভিন্ন মডিউল একসাথে করে ব্রাউজারে রান করতে পারবে এমন কোডে রূপান্তর করা ই বিল্ড টুলস এর কাজ।

  • Webpack: Webpack হচ্ছে অন্যতম জনপ্রিয় একটি মডিউল বান্ডেলার। এটি বিভিন্ন ফাইল এবং মডিউল একসাথে করে এক বা একাধিক bundle তৈরি করে।
  • Vite: Vite হলো আরেকটি আধুনিক দ্রুত এবং সহজ বিল্ড টুল।
  • Babel: Babel ব্যবহার করে নতুন ES6+ কোডকে পুরোনো ব্রাউজারে সাপোর্ট করাতে পারবেন।

Build Tools এবং Module Bundlers মডার্ন ওয়েব ডেভেলপমেন্টের জন্য অপরিহার্য একটি বিষয়। এগুলির সাহায্যে আপনি সহজেই আপনার কোডকে প্রোডাকশন রেডি করতে পারবেন এবং ডেভেলপমেন্ট প্রসেসকে আরও স্মার্ট ও দ্রুততর করতে পারবেন।

টেস্টিং এবং ডিবাগিং

ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করার পর তাতে বাগ থাকলে তা ঠিক করার জন্য এবং প্রতিনিয়ত বাগ টেস্টিং করার জন্য টেস্টিং এবং ডিবাগিং শিখতে হবে।

  • Chrome DevTools: ব্রাউজার-ভিত্তিক এই ডেভটুলটি ডিবাগিং এর জন্য অত্যন্ত কার্যকর এবং ইউজার এন্ডের বেশীরভাগ বাগই এটি দিয়ে ডিবাগ করতে পারবেন। ক্রোম ডেভটুল এর সব ফিচার এবং থার্ডপার্টি এক্সটেনশন ইউজ করা শিখে ফেলুন।
  • Jest: Jest হলো একটি JavaScript টেস্টিং ফ্রেমওয়ার্ক, যা মূলত ইউনিট টেস্টিং এবং ইন্টিগ্রেশন টেস্টিংয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়।

ডিপ্লয়মেন্ট এবং হোস্টিং

আপনার তৈরি করা ওয়েবসাইটকে সার্ভারে আপলোড করার জন্য ডিপ্লয়মেন্ট এবং হোস্টিং সম্পর্কে ধারণা থাকা জরুরি।

  • Netlify: ফ্রি হোস্টিং এবং ডিপ্লয়মেন্ট প্ল্যাটফর্ম হিসেবে Netlify অনেক জনপ্রিয়।
  • Vercel: Next.js এবং React অ্যাপ্লিকেশন হোস্ট করার জন্য Vercel অত্যন্ত জনপ্রিয়।
  • GitHub Pages: ছোট প্রজেক্ট এবং স্ট্যাটিক ওয়েবসাইটের জন্য GitHub Pages ফ্রিতে হোস্টিং অফার করে।

নেটলিফাই, ভার্সেল, গিটহাব, এগুলিতে বিল্ড এবং ডিপ্লয়মেন্ট প্রসেসগুলি শিখে ফেলুন। এরপর AWS টা সময় করে শিখে ফেলবেন।

পারফর্মেন্স ও সিকিউরিটি

একজন ফ্রন্ট-এন্ড ডেভেলপারের জন্য ওয়েবসাইটের পারফর্মেন্স অপ্টিমাইজেশন এবং সিকিউরিটি সম্পর্কে জানা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

  • Lazy Loading: ইমেজ এবং অন্যান্য মিডিয়া কন্টেন্টকে বিরতি দিয়ে লোড করে ওয়েবসাইটের লোডিং টাইম কমায়, হাই পারফরমেন্সের ওয়েবসাইট ডেভেলপ করার জন্য এটি শেখা অনেক প্রয়োজনীয়।
  • Caching: সার্ভার সাইড ক্যাশ ব্যাক-এন্ড ডেভেলপার সামলালেও, ব্রাউজার সাইডের ক্যাশিং এর দায়িত্ব কিন্তু আপনার ঘাড়ে। সুতরাং ব্রাউজার ক্যাশ নিয়ে ভালো করে পড়াশোনা করুন।
  • Security: Cross-Site Scripting (XSS) এবং Cross-Site Request Forgery (CSRF) নিয়ে স্টাডি করুন এবং ডেভেলপমেন্টে সঠিকভাবে এটি প্রয়োগ করে ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।

উপসংহার

ফ্রন্ট-এন্ড ডেভেলপমেন্ট শেখার জন্য উপরের রোডম্যাপ অনুসরণ করলে আশা করি আপনি এই জগতে ঢুকে পড়তে পারবেন। কনসেপ্ট টা বুঝে গেলে আপনাকে আর কারো কাছ থেকে শুনে কিছু শিখতে হবে না। নিজেই বুঝে যাবেন আপনার কি শেখা উচিত। শুধু মনে রাখবেন, শিখে থেমে যাবেন না। নতুন কি ঘটছে, নতুন কি রিলিজ হচ্ছে, বা কি কি আপডেট হচ্ছে, এগুলি নিয়ে ঘাটাঘাটি করবেন এটলিস্ট সপ্তাহে একদিন। নতুন টেকনোলজি, নতুন ফ্রেমওয়ার্ক, নতুন মেথড, সবগুলিতে উকিঝুকি দিয়ে রাখবেন, বলা যায় না কখন কোনটার দরকার পরে।

শেখা কখনো শেষ হয় না। আর ফ্রন্ট-এন্ড ওয়েব ডেভেলপেন্টে এই সত্যিটা অনেক বেশিই সত্যি। প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে দেখবেন নতুন একটা ফ্রেমওয়ার্ক রিলিজ হয়েছে। সবগুলোই শিখতে হবে তা বলছি না, তবে আপনাকে ট্রেন্ডের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। যখন যেই ফ্রেমওয়ার্ক জনপ্রিয়তা পাবে, সাথে সাথে শিখে ফেলবেন। এক-দুইটা ফ্রেমওয়ার্ক / লাইব্রেরী শিখে ফেললে নতুন কিছু এডপ্ট করা অনেক ইজি। তাই এক্সপ্লোর করা থামাবেন না, থামলেই মুখ থুবরে পড়বেন। হ্যাপী লার্নিং।

এই টপিকের আরও কিছু পোস্টঃ

© সোলায়মান হায়দার