সোলায়মান হায়দার

কম্পিউটার প্রোগ্রামাররা সবচেয়ে বেশী চিন্তিত থাকে তাদের বিয়ে নিয়ে। তাদের কাছে মনে হয় কেউ বুঝি তাদের বিয়ে করবে না। পাত্রী পক্ষও প্রোগ্রামারদের প্রফেশন সম্পর্কে ভালো করে বুঝতে পারে না, ফলে তারা তাদের আদরের মেয়েকে একজন প্রোগ্রামারের হাতে তুলে দিতে ভয় পায়।

কিন্তু একজন প্রোগ্রামারকে বিয়ে করলে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়, যা অন্য প্রফেশনের কেউ দিতে পারে না। আমি কয়েকটি সুবিধা তুলে ধরছি, এই সুবিধাগুলি পেতে চাইলে সবাই দলে দলে প্রোগ্রামারকে বিয়ে করুন।

কম্পিউটার প্রোগ্রামাররা বেশীরভাগ সময় তাদের কম্পিউটারের সামনেই কাটায়। অই সময়ে তাদের এটেনশন পাওয়া অনেক কঠিন। ফলে, আপনার আর গোয়েন্দাগিরি করতে হবে না। সে অন্য কন মেয়ের কথা ভাবার সময়ই পাবে না।

কম্পিউটার প্রোগ্রামারের আরো কিছু গুণাবলী যা সংসার জীবনে অনেক দরকারি।

১. তারা ধনী হয়ঃ প্রোগ্রামাররা বড় বড় ইন্টারন্যাশনাল আইটি ফার্মগুলির সাথে কাজ করে এবং বাংলাদেশের যেকোনো প্রফেশনের মানুষদের চেয়ে কয়েকগুন বেশী আয় করে। প্রোগ্রামাররা সবসময় অন্য কোম্পানিতে জয়েন করার জন্য প্রস্তুত থাকে, ফলে তাদের বেকার থাকতে হয় না।

২. সবসময় যুক্তিসম্পন্ন কথা বলেঃ প্রোগ্রামাররা মানুষের চেয়ে কম্পিউটারের সাথে বেশী কথা বলে, ফলে তারা সবসময় যুক্তিসম্পন্ন কথা বলে। আপনাকে কখনই অযৌতিক কিছু বলবে না।

৩. ভালো জিনিশ কিনেঃ প্রোগ্রামাররা কখনোই খারাপ, কমদামী, গুলিস্তানের প্রোডাক্ট কিনে না। তারা ব্র্যান্ডশপ ছাড়া কেনাকাটা করেই না বলা চলে, আসলে তাদের দামাদামি করার মতো সময় নেই। ফলে, সবসময় আপনি বাজারের সেরা জিনিসটাই পাবেন।

৪. সাপ্তাহিক ছুটিতে তারা অনেক রোমান্টিক হয়ঃ সারা সাপ্তাহ সময় দিক আর না দিক, সাপ্তাহিক ছুটির দিনে তারা অনেক রোমান্টিক হয়। আপনাকে ভালো ভালো রেস্টুরেন্টে নিয়ে যাবে, মুভি দেখতে নিয়ে যাবে, সুন্দর সুন্দর যায়গায় ঘুরতে নিয়ে যাবে। যা অন্য প্রফেশনের কেউ নিয়মিত করবে না।

৫. তারা সমস্যা সমাধানে পটুঃ সংসারে সমস্যা হয়ই, কিন্তু সেই সমস্যাগুলি প্রোগ্রামাররা অনেক সুন্দর ভাবে সমাধান করতে পারে। কারন, কম্পিউটারের সামনে বেশীরভাগ সময় সমস্যা সমাধান করেই কাটায়। এতে তারা সমস্যা সমাধানে এক্সপার্ট হয়ে যায়।

৬. তারা গ্যাজেট ভালোবাসেঃ অন্য কাউকে বিয়ে করলে আপনি আপনার জন্মদিন বা এনিভারসারিতে হয়ত কেক, গোলাপ, রিং গিফট পেতে পারেন। কিন্তু প্রোগ্রামারকে বিয়ে করলে আপনি অইগুলির সাথে আইফোনও পেয়ে যেতে পারেন। কারন প্রোগ্রামাররা ইলেকট্রিক গ্যাজেট কিনতে ভালোবাসে।

৭. তারা সন্তানকে উদ্যক্তা বানাতে চায়ঃ প্রোগ্রামাররা তাদের সন্তানকে ভবিষ্যৎ স্টিভ জবস বানাতে চায়। ফলে, আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবে না।

৮. তারা ঘুরতে ভালোবাসেঃ তারা সময় পেলেই দেশ-বিদেশ ঘুরতে ভালোবাসে। ফলে, আপনিও তারসাথে দেশ-বিদেশ ঘুরতে পারবেন।

৯. তারা বিদেশ থেকে কেনাকাটা করতে ভালোবাসেঃ হয়ত একদিন ঘুম থেকে উঠে দেখবেন আপনার ঘরে বিদেশী কস্মেটিক্স দিয়ে ভরে গেছে। প্রোগ্রামারদের কাছে বাংলাদেশে শপিং করার চেয়ে অনলাইনে অ্যামেরিকা থেকে শপিং করা সহজ। তাই আপনি বেশীরভাগ সময় বিদেশী প্রোডাক্ট ই ব্যবহার করবেন। যা, অন্য প্রফেশনের কাউকে বিয়ে করলে পারবেন না।

১০. তারা ২৪ ঘণ্টায় বাড়িতে থাকেঃ ঘরে বসে কাজ করার কারনে প্রোগ্রামাররা ২৪ ঘণ্টায় বাড়িতে থাকে। ফলে, যেকোনো দরকারে আপনি আপনার স্বামীকে পাশে পাবেন।

এখন আপনিই চিন্তা করে দেখুন সাধারণ কাউকে বিয়ে করে সারাদিন কাজ করে স্বামীর জন্য সন্ধায় অপেক্ষায় বসে থাকবেন, নাকি প্রোগ্রামারকে বিয়ে করে আরাম-আয়েশে, ভালোবাসায় জীবন কাটাবেন।

পোস্টের মন্তব্যগুলি

কমেন্ট লোড হচ্ছে...

এই ধরনের আরও পোস্ট

ফ্রিল্যান্সিং আর আউটসোর্সিং এর মধ্যে পার্থক্য

২ বছর আগে পোস্ট করা হয়েছে

ফ্রিল্যান্সিং আর আউটসোর্সিং এর মধ্যে পার্থক্য

ফ্রিল্যান্সিং কে পেশা হিসেবে বলার একটা ট্র্যাডিশন অনলাইন কমিউনিটিতে প্রচার হয়েই আছে, তার মধ্যে কিছু পন্ডিত ভাই-ব্রাদার আবার আদর করে এটাকে আউটসোর্সিং বলেও প্রচার করে থাকে। কিছু টেক জার্নালিস্ট, ইভেন কিছু সরকারের উচ্চ-পদস্থ কর্মকর্তারাও এই সেক্টরটাকে আউটসোর্সিং বলে প্রচার করে। ফ্রিল্যান্সিং ওয়ার্ডটাকে কে মোটামুটি মেনে নেয়া যায়, কিন্তু আউটসোর্সিং শব্দটা যে সম্পুর্ন উল্টো, এটা কেউ…

আমার সাথে একজন ইন্ডিয়ান ডেভেলপার এর একটি ইন্টারভিউ

৮ বছর আগে পোস্ট করা হয়েছে

আমার সাথে একজন ইন্ডিয়ান ডেভেলপার এর একটি ইন্টারভিউ

একজন ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার লাগবে ছোট একটা কাজের জন্য। আমি অন্য প্রজেক্টে ব্যস্ত আছি জন্য ক্লায়েন্টে হায়ার করতে বললাম। ইন্টারভিউতে আমাকে বসিয়ে দিল। আমার প্রশ্নঃ মিয়া তোমার বাড়ি কই? ডেভেলপারঃ ইন্ডিয়া। আমিঃ দারুন। ডেভেলপারঃ থ্যাঙ্ক ইউ। আমিঃ তোমারেও থ্যাঙ্ক ইউ। গুড বাই… 😀 ডেভেলপারঃ সরি? আমিঃ আসলে আমাদের বেশ কয়েকটি সুন্দর অভিজ্ঞতা আছে ইন্ডিয়ান ওয়ার্কারদের নিয়ে।…

ফ্রিল্যান্সিং এর টুকরো গল্প [২] – সোজা আঙ্গুল ও বাঁকা আঙ্গুল

৩ বছর আগে পোস্ট করা হয়েছে

ফ্রিল্যান্সিং এর টুকরো গল্প [২] – সোজা আঙ্গুল ও বাঁকা আঙ্গুল

বেশ কয়েকবছর আগের কথা, একটা কাস্টম ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভেলপমেন্ট এর প্রোজেক্ট পাই ৭০০ ডলারের। এজ ইউজুয়াল ৫০০ ডলার আপফ্রন্ট নেই আর বাকিটুকু প্রজেক্ট ডেলিভারির সময় নিবো। তাছাড়া ক্লায়েন্ট এর ব্যবহার অনেক ভালো, এমন ক্লায়েন্টকে মাগনা কাজ করে দিতেও ভালো লাগে। (ক্লায়েন্ট ব্রাজিলিয়ান সুন্দরী ছিলো) হাসিখেলা করে সাপ্তাহখানেক লাগলো প্রজেক্ট কমপ্লিট করতে। আমার একটা বাজে স্বভাব…

ফ্রিল্যান্সিং এর টুকরো গল্প [১] – প্রথম ধোঁকা

৪ বছর আগে পোস্ট করা হয়েছে

ফ্রিল্যান্সিং এর টুকরো গল্প [১] – প্রথম ধোঁকা

আমার ফ্রিল্যান্স ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ক্লায়েন্ট ছিলো ক্যানাডিয়ান। প্রথম ক্লায়েন্ট, প্রথম কাজ, প্রথম আর্নিং, মনের ভিতর একটা প্রশান্তির হাওয়া বয়ে যাচ্ছিলো। টানা দুই বছরের প্রচেস্টা আজ সফলতার মুখ দেখলো। কিন্তু জানা ছিলো না ক্যারিয়ারের প্রথম ক্লায়েন্টই আমাকে ধোকা দিবে। ওইসময়ে ওডেস্ক প্রোফাইলের কত ঘন্টা কাজ করা হয়েছে সেটার উপর যথেস্ট গুরুত্ত্ব দেয়া হতো, তাই…

নারীদের ফ্রিল্যান্সিংঃ কেনো নারীদের ফ্রিল্যান্সিং করা উচিৎ

৫ বছর আগে পোস্ট করা হয়েছে

নারীদের ফ্রিল্যান্সিংঃ কেনো নারীদের ফ্রিল্যান্সিং করা উচিৎ

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নারীদের ফুল টাইম চাকরি করা অত্যন্ত কঠিন একটা কাজ। বাংলাদেশের বেশীরভাগ স্বামীরা সংসারের কাজ করতে অভ্যস্ত নয়। ফলে, কোন নারী চাকরি করলেও, তাকে সংসারের সকল কাজ করতে হয়। এই কারনেই, বাংলাদেশের নারীরা চাকরি করে না বা তাকে করতে দেয়া হয় না। কিন্তু তারা ইচ্ছে করলেই অনায়াসেই কিছু সময় ফ্রিল্যান্সিং করে ভালো আয় করতে…

দুর্বল ইন্টারনেট কানেকশন

আপনার ইন্টারনেটের ধীরগতির জন্য পেজটি লোড হতে কিছুক্ষণ বেশী সময় লাগছে।