সোলায়মান হায়দার

আমার ফ্রিল্যান্স ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ক্লায়েন্ট ছিলো ক্যানাডিয়ান। প্রথম ক্লায়েন্ট, প্রথম কাজ, প্রথম আর্নিং, মনের ভিতর একটা প্রশান্তির হাওয়া বয়ে যাচ্ছিলো। টানা দুই বছরের প্রচেস্টা আজ সফলতার মুখ দেখলো। কিন্তু জানা ছিলো না ক্যারিয়ারের প্রথম ক্লায়েন্টই আমাকে ধোকা দিবে।

ওইসময়ে ওডেস্ক প্রোফাইলের কত ঘন্টা কাজ করা হয়েছে সেটার উপর যথেস্ট গুরুত্ত্ব দেয়া হতো, তাই আমি ক্লায়েন্টের সাথে ভাব জমিয়ে বললাম তুমি আমাকে ১ ডলার রেটে হায়ার করো, আমি তিনগুন টাইম ট্র্যাক করবো। এগ্রিমেন্ট হয়েছিলো ৩ ডলার প্রতি ঘন্টায়। ক্লায়েন্ট ও খুশিমনে রাজি হলো।

আমি ১৭ ঘন্টায় কাজ করে জমা দিয়ে দেই। ক্লায়েন্ট কাজ দেখে খুশী, আর আমি তো খুশীই। এবার আরো ৩৪ ঘন্টা টাইম ট্র্যাক করবো। প্রোফাইলটা আমার ভ্যালুয়েবল প্রোফাইল হয়ে গেলো। আর লাইফের ফার্স্ট ইঙ্কাম তাও আবার এতোগুলো টাকা, আমার স্পস্ট মনে পরে খুশীতে পায়চারি শুরু করে দিয়েছিলাম। খুশী মনে ক্লায়েন্টের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ঘুমাতে গেলাম। কিভাবে এতো সময় ট্র্যাক করবো সেটা ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পরেছি। ঘুম থেকে উঠেই খেলাম ধাক্কাটা।

আমার এতো ভালো ক্লায়েন্টটা 3.8 রেটিং দিয়ে অনেকবার থেঙ্কু লিখে একটা ফিডব্যাক দিয়ে কন্ট্রাক্ট ইন্ড করে দিয়েছে। সাথে স্কাইপ এ আমাকে ব্লক মেরে দিয়ে গেছে। ১৫ কি ১৬ বছর বয়স তখন আমার, কচি হৃদয়ে ধাক্কাটা বিশাল জোরে লেগেছিলো। রাগ এবং কষ্টে আমার চোখ দিয়ে দুফোটা পানি গড়িয়ে পরেছিলো।

পোস্টের মন্তব্যগুলি

কমেন্ট লোড হচ্ছে...

এই ধরনের আরও পোস্ট

ফ্রিল্যান্সিং এর টুকরো গল্প [২] – সোজা আঙ্গুল ও বাঁকা আঙ্গুল

৩ বছর আগে পোস্ট করা হয়েছে

ফ্রিল্যান্সিং এর টুকরো গল্প [২] – সোজা আঙ্গুল ও বাঁকা আঙ্গুল

বেশ কয়েকবছর আগের কথা, একটা কাস্টম ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভেলপমেন্ট এর প্রোজেক্ট পাই ৭০০ ডলারের। এজ ইউজুয়াল ৫০০ ডলার আপফ্রন্ট নেই আর বাকিটুকু প্রজেক্ট ডেলিভারির সময় নিবো। তাছাড়া ক্লায়েন্ট এর ব্যবহার অনেক ভালো, এমন ক্লায়েন্টকে মাগনা কাজ করে দিতেও ভালো লাগে। (ক্লায়েন্ট ব্রাজিলিয়ান সুন্দরী ছিলো) হাসিখেলা করে সাপ্তাহখানেক লাগলো প্রজেক্ট কমপ্লিট করতে। আমার একটা বাজে স্বভাব…

দুর্বল ইন্টারনেট কানেকশন

আপনার ইন্টারনেটের ধীরগতির জন্য পেজটি লোড হতে কিছুক্ষণ বেশী সময় লাগছে।