সকাল বেলায় ফোন, করতোয়া উল্লাপাড়া ব্রাঞ্চ থেকে। বলছে, সোলায়মান ভাই, আপনার আম এসেছে। আমিতো লাফিয়ে উঠলাম, তাড়াতাড়ি গোসল করে, হাল্কা কিছু মুখে দিয়েই দৌর।
রাজশাহীর আমভয়ে ছিলাম, এই গরমের মধ্যে আম না জানি কেমন অবস্থায় এসে হাতে পৌছায়। যাই হোক, বাসায় এসে প্যাকেট খোলার পর আক্কেল-গুরুম। আমকে যে, এতো যত্ন করে প্যাকিং করা যায় জানতামই না। শক্ত প্লাস্টিকের বক্সে ধানের খড় ও কাগজ সহকারে এতো সুন্দর করে বাধা ছিল যে, আমের কোন ক্ষতি হওয়া ইম্পসিবল।
আরেকটা কথা থেকে যায় যে, এই গরমে আম আসতে আসতে বেশি পেকে নষ্ট হয়ে যাবে না তো? আমিও এই ভয়ই করছিলাম। কিন্তু এমন ভুল রাজশাহীর আম টিম করেন নি। তারা এমন অবস্থার আম পাঠিয়েছেন যে, আগামীকাল আম গুলি সম্পূর্ণ পাকবে। সুতরাং, এইটাও একটা প্লাস পয়েন্ট রাজশাহীর আমের জন্য।
আম খাওয়ার পর আমি এতটাই মজা পেয়েছি যে, মনে হচ্ছিল তখনই আবার আরও আমের অর্ডার দেই।
আর আমের স্বাদের কথা তো বলাই যাবে না। সম্পূর্ণ ক্যামিকেলমুক্ত আর স্বাদে অতুলনীয়। আসল আমের মজা গ্রাম থেকে চলে আসার পর এবারই প্রথম পেলাম। ধন্যবাদ, রাজশাহীর আম ডট কম।